ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এর জন্য টিওএন্ডটিভুক্ত আরো একটি ‘ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টর-ভিওআইপি কেনা হচ্ছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ভিওআইপি’টি কেনা হবে। এ জন্য ব্যয় হবে ৫৬ কোটি ৩২ হাজার টাকা।
সূত্র জানায়, এনটিএমসি’র জন্য গত ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে একটি ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টর কেনার লক্ষ্যে প্রশাসনিক অনুমোদন করা হয়। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরন করে যন্ত্রটি কেনার জন্য একই বছর ৫ মে তারিখে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) সভায় উপস্থাপনের জন্য সার-সংক্ষেপ পাঠানো হয়। যা ১৫ মে তারিখের সভায় উপস্থাপিত হয়। এরপর হার্ডওয়্যার এবং সফট্ওয়্যার ভবিষ্যতে নির্ধারিত কোম্পানির বাইরের উৎস থেকে নেওয়ার সুযোগ আছে কিনা এবং ৩ বছর সেবা দেওয়ার পরবর্তিতে দেশীয় জনবল প্রশিক্ষিত করে তাদের দিয়ে সার্বিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা থাকবে কিনা- এই বিষয়গুলো গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব পরবর্তীতে সভায় উপস্থাপন করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
সূত্র জানায়, এনটিএমসি থেকে যন্ত্রটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে সিসিইএ-এর চাওয়া হার্ডওয়্যার ও সফট্ওয়্যার নির্ধারিত কোম্পানির বাইরের উৎস থেকে কমার্শিয়াল হার্ডওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে সিস্টেমটি কার্যক্ষম রাখা সম্ভব এবং ৩ বছর সেবা দেওয়ার পরে আমাদের দেশীয় জনবল প্রশিক্ষিত করার বিষয়টি উল্লেখ করে আবার প্রস্তাব পাঠায়। প্রস্তাবটি পুনর্বিবেচনার জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উপস্থাপনের লক্ষ্যে গত ২০১৯ সালের ২৮জুলাই পাঠানো হয়। সে প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় একটি সিদ্ধান্ত হয়।
সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, জননিরাপত্তা বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)-এর আওতায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন,২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) অনুযায়ী জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অবলম্বনে ১টি ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টর কেনার লক্ষ্যে প্রকিউরমেন্ট আইন,২০০৮ এর বিধি ৭৬(২)-এ উল্লেখিত মূল্যসীমার উর্ধ্বের ক্রয়ের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে। সর্বসম্মতভাবে এ সুপারিশ করা হয়।
সূত্র জানায়, যন্ত্রটি কেনার জন্য দরদাতা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের মোবাইলিয়াম ইনকরপোরেশনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কারিগরি কমিটির মূল্যায়নে কমপ্লাইড বিবেচিত হয়। তবে দাখিল করা দাম বাজারদরের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় টিইসি কর্তৃক এ লক্ষ্যে দরদাতার সঙ্গে পিপিআর-২০০৮ এর বিধি-৭৫(৩) এর আলোকে নেগোসিয়েশন শেষে আগের দাম ৫৫ লাখ ইউএস ডলারের জায়গায় ৪৪ লাখ ইউএস ডলার (মূল্য সংযোজন কর ও ভ্যাট ছাড়া) প্রস্তাব করে। যা দেশীয় মুদ্রায় ৩৭ কোটি ৮৪ হাজার টাকা। এইচএস কোড ৮৫১৭.৬৯.০০ অনুযায়ী ১৮ কোটি ১৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা, কাস্টমস ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি , মূল্য সংযোজন করসহ সর্বমোট ৫৬ কোটি ৩২ হাজার টাকা। যা ক্রয়কারী সংস্থা প্রধান (এইচওপিই) অনুমোদন করে। যা দরদাতা প্রতিষ্ঠানের অথারাইজেশন নথিতে সংযুক্ত করা হয়।
সূত্র জানায়, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এর টিওএন্ডইতে ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টর এর মঞ্জুরি সংখ্যা ২টি। এরআগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ২০১৯ সালের ১৮ জুন তারিখের একটি স্মারকের মাধ্যমে একটি ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টর কেনার অনুমতি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে এনটিএমসির বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় যন্ত্রাংশটি অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। যা এসটিএমসির বাজেট বরাদ্দ থেকে ব্যয় করা হবে এবং এ খাতে ১৯০ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
সূত্র জানায়, এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হবে।
কলমকথা/ সাথী
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।